রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র গির্জামহল্লার আছমত আলি খান ইনস্টিটিউড (একে স্কুল) এডহক কমিটির খামখেয়ালি পনায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন স্কুলটির সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক এইচ.এম জসিম উদ্দিনসহ তার পরিবার।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ একে স্কুল এডহক কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করেন প্রধান শিক্ষক এইচ.এম. জসিম উদ্দিনকে। বরখাস্তের বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা করছেননা স্কুল কমিটি।
চলতি বছরের ০৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এনায়ুতুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ একটি রায় দেন। সেই আদেশে বলা হয় বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদ্রাসার কোনো শিক্ষককে যে কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িক বরখাস্ত হলে, তা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে ছয় মাস পরে পূর্ণবহল হবে।
এদিকে এইচ.এম. জসিম উদ্দিনের সাময়িক বরখাস্তের বছর পার হলেও তাকে যোগদান করতে দিচ্ছেননা একে স্কুল কমিটি ভু্ক্তভোগী এইচ.এম.জসিম উদ্দিন।
ভু্ক্তভোগী সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এইচ.এম. জসিম উদ্দিন বলেন কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের বাসভবনের নির্মাণ কাজ চলায় স্কুলের প্রশাসনিক ভবনের দুটি রুমে বসবাস করছেন এইচ.এম.জসিম উদ্দিনের পরিবার।
তাকে উৎখাত করতে ১৬ অক্টোবর শনিবার দুপুরবেলা স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ এইচ.এম. জসিম উদ্দিনের বাসার গ্রিল ভেঙ্গে দেয় এসময় তারা নিরাপত্তার জন্য ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থল যায় কোতোয়ালি থানার এএসআই মিজানসহ ৭/৮জন পুলিশ সদস্য। এসময় ঘটনা দেখে তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেন তারা।
এবিষয়ে স্কুলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ বলেন আমারা তাকে কক্ষ ছাড়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ করলেও তিনি কক্ষটি ছাড়েননি।
কক্ষ ছাড়ার বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক এইচ.এম.জসিম উদ্দিন বলেন, উক্ত বিষয় নিয়ে বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান আছে। তাই আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া আমি স্থান ত্যাগ করতে পারিনা। তিনি আরো বলেন বরখাস্তের ছয়মাস পের হলেও আমাকে যোগদান করতে দিচ্ছেননা স্কুল কমিটি। প্রধান শিক্ষক এইচ.এম. জসিম উদ্দিন আরো জানান যেহেতু উভয় পক্ষের মামলা চলমান তাই বাসভবন বিষয় মামলা বিরোধপূর্ণ সেহেতু মামলা নিষ্পত্তি ছাড়া বাসভবনে অবৈধ হস্তক্ষেপ আইন সংগত নয়। তিনি বলেন তার মেয়ে ২০২১ সনের এস এসএসসি ও ছেলে পিএসসি পরীক্ষার্থী। সুতরাং ইহা অমানবিক।